পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত ১০ টার সময় চুমুরদী এলাকার টিকটকার আকরাম খাঁন ও বোয়ালমারী উপজেলা এলাকার টিকটকার ঐ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে মর্মে মৌখিক বক্তব্য দেয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করে। আটক যুবকদের নিকট জিজ্ঞেসাবাদে আকরাম খাঁন স্বীকার করেন যে, গত মঙ্গলবার( ৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরিদপুরের বোয়ালমারী এলাকা থেকে টিকটকার ঐ নারী সহ সালথা ও মধুখালি উপজেলা থেকে আরো ২ যুবককে ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী এলাকায় নিয়ে আসি। পরে ঐ নারীকে একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে আমি (আকরাম) ও জুয়েল মোল্লা ধর্ষণ করি।
পরে এলাকার ৪ জন যুবক ঐ নারীর সাথে আমাদের সাথে মারধর করে অশ্লীল ভিডিও ধারন করে ভয় দেখিয়ে ৬টি মোবাইল, নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এব্যাপারে ভাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোকছেদুর রহমান বলেন, শুক্রবার রাতে টিকটকার এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে মর্মে মৌখিক অভিযোগ দেয়। পরদিন শনিবার রাতে ২টি ধর্ষণ মামলা এবং একটি পন্যগ্রাফী আইনে ১টি সহ পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করতে সক্ষম হই । আটকদের মধ্যে ২ যুবক আকরাম খাঁন ও জুয়েল মোল্লা জিজ্ঞেসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। তারা ২জন ঐ নারী টিকটকারকে চুমুরদী এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে।
এরপর এলাকার ৪ যুবক টের পেয়ে ২ ধর্ষক ঐ নারীর অশ্লীল ভিডিও ধারন করে ভয় দেখিয়ে ৬টি মোবাইল, প্রায় ১০ হাজার নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানা পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে সকল আসামিদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
এ ঘটনায় মামলার বাদি ঐ নারীর মা জায়েদা বেগম জানান, আমার মেয়ে কানাইপুর জুট মিলে চাকরি করতো। ভাঙ্গা থানা থেকে খবর পেয়ে থানায় হাজির হই। পরে মেয়ে নিকট থেকে বিস্তারিত শুনে ভাঙ্গা থানায় দুই জন আসামি (ধর্ষকের) বিরুদ্ধে পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করি।
এ বিষয় টিকটকার ওই নারী জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অন্যায় করা হয়েছে দুইজন ধর্ষণকারী ও চারজন অশ্লীল ছবি ধারণকারী সকলের বিচার চাই।
০৪/০১/২৫
Leave a Reply