আব্দুল মান্নান, ভাঙ্গা প্রতিনিধি-
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নূরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের ফুকুরহাটি গ্রামে সাবেক সেনা সদস্য আলিমুজ্জামানের ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখল করে বাড়িঘর ভাঙচুর ও বাড়ির মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। দখলকারী হাচান, হবিবর, বাদল মাতুব্বর ও মিজানুর মীরদের বিরুদ্ধে । শনিবার বিকেলে সেনা সদস্য আলিমুজ্জামানের স্ত্রী আমেনা বেগম সাংবাদিকদের নিকট এ সব অভিযোগ করেন।
অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, আমার স্বামী সাবেক সেনা সদস্য আলিমুজ্জামান চাকরি থাকা অবস্থায় একটা বাড়ি করার জন্য গত ২০২০ সালে পাকা রাস্তার পাশে সাড়ে ১০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন। এরপর সেখানে ২টি টিনের ঘর, বিদ্যুতের মিটার, রান্নাঘর ও ১টি পাকা টয়লেট নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছেন । সম্পত্তির বিবরণ জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার ২২ নং ফুকুরহাটি মৌজার বি,এস নং ৯৬৫, দাগ নং ৩২১,৩২২, মোট জমির পরিমান সাড়ে ১০ শতাংশ। উক্ত সম্পত্তিতে আসামি হাসান, হবিবর, বাদল ও মিজানুর মীর গংরা সেনা সদস্যর জায়গার দখল করে বাড়িঘর ভাংচুর করে নতুন টিন দিয়ে বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। ২টি ঘর, বিদ্যুতের মিটার, টয়লেট ভাংচুর এবং ঘরে থাকা মালামাল লুঠপাট করেছে। আসামিরা ১৪৪ ধারা অপেক্ষা করে জায়গা জমি দখল করে ভাংচুর করে সব কিছু নিয়ে গেছে। বর্তমানে পরিবার দুইটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এ বিষয়ে সাবেক সেনা সদস্য আলিমুজ্জামানের ভাই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য কেরামত আলী বলেন, আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে মারপিট করে জোর পুর্বক তাদের গাছ কাটিয়ে নিয়ে যায়। তারা এ বিষয়ে আমি ভাঙ্গা থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর- ২০ , তারিখ ১৩/০১/২৫। উক্ত মামলায় আমি সাক্ষ দিয়েছি। যাহার কারণে আসামি হাচান, মিজানুর ও হাবিবুর আমাকে মারধর করে। তার সন্ত্রাসী প্রকৃত লোক। তারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আমার ভাই আলিমুজ্জামানের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুঠপাট করেছে। ,জায়গা দখল করে টিন দিয়ে বেড়া দিয়েছে। আমরা বাধাঁ দিলে আমাদের পরিবারের লোকজনকে মারধর ও হামলা করে।
এ বিষয় মামলার বাদি সাবেক সেনা সদস্য আলিমুজ্জামানের স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, আমার স্বামীর নামে ক্রয়কৃত সাড়ে দশ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে বাড়ি ঘর নির্মাণ সহ নানা ধরনের ফরজ, বনজ, বৃক্ষ রোপণ করি। আসামিরা জোরপূর্বক আমার বাড়িঘর ভাংচুর করে আমার জায়গা দখল করে টিন দিয়ে বেড়া দিয়েছে। আমি ফরিদপুর আদালতে ১৪৪ ধারা একটি মামলা করি। যাহার নম্বর- ২৫/২০২৪ আদালত আসামী পক্ষকে উক্ত জায়গা প্রবেশের উপর নিষেধাক্কা দিয়েছে। পুলিশ আসামী হাসান গংদের বিরুদ্ধে নোটিশ করেছে। তারপরও আসামিরা সন্ত্রাসী ও জবরদখল লোক হওয়ায় তারা ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে আমার বাড়িঘর ভাংচুর করে জায়গা দখল করে টিনের বেড়া দিয়েছে। আমি বাঁধা দিলে আমাকে মারধর সহ প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এঘটনা আমি ভাঙ্গা থানায় মামলা করেছি। তারপর ও তারা স্থানীয় ক্ষমতাশালী লোক হওয়ায় তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বর্তমানে আমরা মানবতার জীবন যাপন করছি। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।
১৮/০১/২৫
Leave a Reply