ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের হিরালদী গ্রামের বাসিন্দা সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছে একটি পরিবার। পরিবারের সদস্য সফল নারী হিসেবে এবছর ভাঙ্গা উপজেলা ও ফরিদপুর জেলায় শ্রেষ্ট জয়িতার সম্মানে ভূষিত হয়েছে।
একটি স্বার্থান্বেসী চক্রের রোষানলে পড়ে গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে ভাঙ্গা উপজেলার সাউতিকান্দা ও হিরালদী গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে পেয়াঁজ বীজ বেচাকেনার পাওনা টাকা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের ৭/৮ লোক আহত হয়। এঘটনায় জয়িতার তিন ছেলে শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, ওবায়দুর রহমান, রফিকুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত থাকা সত্বেও পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ ভুক্তভোগীদের ।
জানা যায়, ওই গ্রামের একটি মডেল পরিবার বলে খ্যাত, উচ্চ শিক্ষিত, চাকুরীজীবি, স্বচ্ছ ইমেজ সম্পন্ন শিক্ষক মো: শহিদুল ইসলাম ও তার আপন ভাই বোনের এক ধরনের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। মরহুম হাজী আব্দুল করিম মিয়া’র সুযোগ্য সন্তানেরা প্রত্যেকেই নিজ গুণে গুনান্বিত এবং স্ব-স্ব ক্ষেত্রে দেশ সেবায় তারা বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। বড় ছেলে ও তার পরিবার নজরুল ইসলাম আমেরিকা প্রবাসী। মেজো ছেলে মো: শহিদুল ইসলাম স্কুল শিক্ষক, সেজো ছেলে ওবায়দুর রহমান, বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনি শিল্প কর্পোরেশনে কর্মরত, ছোটো ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম, ব্যাংকার। সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানকারী নারী ক্যাটাগরিতে এ বছর ফরিদপুর জেলায় শ্রেষ্ট জয়িতা সম্মাননায় ভূষিত হয়েছে।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সমাজসেবা ও মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত তিন ছেলেকে গত ১৯ ডিসেম্বর (২০২৪) তারিখে ভাঙ্গা থানায় একটি মিথ্যা মামলায় তাদেরকে আসামি করা হয়েছে। এঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এলাকার সুশীল সমাজের মাঝে ও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ১২ ডিসেম্বর ঘারুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়াড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মাতুব্বর তিনি মালেক হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন। ঐদিন আওলাদ মাতুব্বরের নেতৃত্বে তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হিরালদী গ্রামে গিয়ে পাওনা টাকার সুত্র ধরে সকালে হামলা চালায়। এতে কয়েকজন লোক আহত হয়ে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি হয়। ৩দিন পর উভয় পক্ষের আহতেরা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে শুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে আসে।
এলাকার কয়েকজন বয়োবৃদ্ধ ব্যাক্তি বলেন, এভাবে মামলায় নীরিহ মানুষকে জড়িয়ে হয়রানি করা সত্যিই দুঃখজনক। জয়িতা অর্জনকারী পরিবারের ৩ সদস্যকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ফায়দা লুটতে তিন ছেলেকে আসামি করেছে।
এসময় তারা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে অবস্থান করছিরেন ।
এলাকাবাসীর দাবি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
২৭/১২/২৪
Leave a Reply